তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব পদ থেকে হঠাৎ অপসারণ হয়েছেন এম এ আউয়াল এম পি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি পলিটিক্সনিউজকে বলেন: আমি সঠিক বলতে পারবো না কি করাণে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এপ্রিলের ২৮ তারিখ কাউন্সিলের আগে হঠাত ১৬ এপ্রিল আমাকে অপসারণ করা হয়। আমি মনে করি এটা উদ্যেশ্যপ্রনোদিত, আমি ক্ষুব্ধ এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাই। গনতান্ত্রিকভাবে সব কাজ হওয়া দরকার। দলে গণতন্ত্র না থাকলে, দেশে কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? আমি তরিকতের সাথেই ছিলাম, থাকব।
বহিষ্কার হলেও ১৪দলে থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ইচ্ছের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন: আরও উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারও মহাজোট সরকারকে ক্ষমতায় আনার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে ১৪-দলীয় জোটকে আরও শক্তিশালী ও বেগবান হতে হবে। বর্তমানে আমি তরিকতের মহাসচিব না থাকলেও দলটির একজন কর্মী। বর্তমানে আমাদের দুজন সংসদ সদস্য আছে। আগামী নির্বাচনে আমরা দশটি আসন জোটের কাছে চাইব।
২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়া তরিকত ফেডারেশনের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন:
অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় মূল্যবোধ, আধ্যাত্যিকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং মদিনা সনদের আলোকে গণকল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠন আমাদের মূল লক্ষ্য।
ইসলাম নিয়ে কাজ করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলোকে একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে আনার জন্য অতীতের প্রচেষ্টা এখনও অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন: আমি চেয়েছিলাম যেসব দল সত্যিকারের ইসলাম নিয়ে কাজ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, তাদের আলাদ না রেখে এক জায়গায় নিয়ে আসতে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে পারব। আমরা অনেকগুলো দলের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম এবং যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এই জোটটি ইনশাল্লাহ আমি করব।
নির্বাচনী আসন লক্ষীপুর ১ এ কাজ ও ভবিষ্যত ভাবনা জানতে চাইলে এম এ আউয়াল বলেন: আমার এলাকায় তিনটি বিদ্যুতের সাবস্টেশন হয়েছে, গ্রীড নির্মাণ হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, আনেকগুলো রাস্তা , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন করেছি, মাদক নির্মূল করেছি। সর্বিকভাবে আমি মনে করি আমার এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমার স্বপ্ন এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে রামগন্জকে আদর্শ মডেল উপজেলা হসেবে গড়ে তুলব। আমি আশাবাদী আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন এবং আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব।