লেবানন ফেরত গ্রেফতার ৩২ প্রবাসী শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তি, যথার্থ ক্ষতিপুরণ
প্রদানের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টম্বর) দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক এক বিবৃতিতে এসকল দাবি জানান।
প্রতারণা করার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সীদের দায়ী করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান তিনটি ভিত্তির অন্যতম প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স। বিদেশের মাটিতে ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে প্রবাসী শ্রমিকরা প্রতি বছর দেড় লক্ষ কোটিরও বেশী টাকা দেশে পাঠায়। তাদের প্রেরিত ডলারে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ স্ফীত হয়, দেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের উপকরণ আর শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি হয়।
দায়িত্ব অবহেলাকারী সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, দুতাবাস আর বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়েরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলাকে আড়াল করতে প্রতারিত প্রবাসী শ্রমিকদেরবিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে তাদের গ্রেফতার করার এই ঘটনা প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্টদেরআরও উৎসাহিত করবে।
আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল প্রবাসী শ্রমিকদের নিারপত্তা নিশ্চিত করা, নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা। প্রতারিত শ্রমিকদের বিদেশে সার্বিক নিরাপত্তা, দেশে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন, ক্ষতিপূরণ আর প্রতারক রিক্রুট এজেন্টদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু রাষ্ট্র উল্টোনিপীড়কের ভ‚মিকায় অবতীর্ন হয়েছে।
ইতিপূর্বেও মধ্যপ্রাচ্য ও ভিয়েতনাম থেকে প্রতারিত হয়ে ফেরত আসা ৩০২ জন প্রবাসী শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রের এই ধরণের দায়িত্বহীন আচরনের তিব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত প্রবাসী শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্টদের গ্রেফতার করার দাবি পুনঃব্যাক্ত করেন।