বিএসটিআই ছাড়পত্র / বিএসটিআই লাইসেন্স
বাংলাদেশে পণ্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের। খাদ্যদ্রব্য, কৃষিপণ্য, রাসায়নিক, পাটবস্ত্র, বিদ্যুৎ প্রযুক্তি এবং কৌশল- এ ৬টি ক্যাটাগরির ১৪৫টি পণ্যের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউটশন (বিএসটিআই) লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।
বিএসটিআই ছাড়পত্র নিতে হলে যেতে হবে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিএসটিআই অফিসে (আমাদের সময় পত্রিকা অফিসসংলগ্ন)। এখানে সিএম উইংয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করতে হয়। নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে ফি ৫০ টাকা আর নবায়ন ফি ২৫ টাকা। পণ্য পরীক্ষা এবং লাইসেন্স নেয়ার জন্য আলাদাভাবে টেস্টিং ফি দিতে হয়। বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে এই টেস্টিং ফি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সাধারণভাবে লাইসেন্স নিতে হলে ফি এক রকম আর আর্জেন্ট বা দ্রুত লাইসেন্স করাতে চাইলে আরেক রকম ফি দিতে হয়।
আবেদনের সঙ্গে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি, ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রেশনের কপি, ভ্যাট বা টিন সনদের সত্যায়িত কপি, পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির তালিকা, মোড়ক, উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট রসায়নবিদের বায়োডাটা ইত্যাদি কাগজপত্র দিতে হয়।
লাইসেন্সের আবেদন করার পর বিএসটিআই পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। এ সময় বিএসটিআই পরিদর্শক এবং আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উভয়ের স্বাক্ষরসহ পণ্যটি সিল করা হয়। পরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লাইসেন্স দেয়া হয়। একবার লাইসেন্স নিলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না।
প্রতি তিন বছর পরপর একই নিয়ম মেনে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। বিএসটিআই পরিদর্শকরাও বিভিন্ন সময় বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করেন। লাইসেন্স প্রাপ্তির পর পণ্যের মোড়কে বিএসটিআই সিল দেয়ার সময় ব্যাচ নম্বর, উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখে পণ্যের নাম, উৎপাদনকারী বা আমদানিকারকের নাম, ওজন ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়।
লাইসেন্সপ্রাপ্তির পর পণ্যের মোড়কে বিএসটিআই সীল দেবার সময় ব্যাচ নম্বর, উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ পণ্যের নাম, উৎপাদনকারী বা আমদানীকারকের নাম, ওজন ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়।