শেয়ার ব্যবসাঃ শুরু করবেন যেভাবে

শেয়ার ব্যবসা 

শেয়ার বাজার হল স্টক এক্সচেঞ্জ নিবন্ধিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর শেয়ার বেচা-কেনা করার স্থান। শেয়ার বাজারকে পুজিবাজার ও বলা হয়। বাংলাদেশে দু’টি শেয়ার বাজার চালু রয়েছে। শেয়ার বাজার দু’টি হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর ঠিকানা

স্টক এক্সচেঞ্জ বিল্ডিং

৯/এফ, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ

ফোন- ০২-৯৫৬৪৬০১, ৭১৭৫৭০৩-১১

ফ্যাক্স- ৮৮-০২-৯৫৬৪৭২৭

ই-মেইল- [email protected]

ওয়েবসাইট- www.dsebd.org

শেয়ার ব্যবসা শুরু করতে হলে

-প্রথমে বিও একাউন্ট খুলতে হয়।

-ব্রোকারেজ হাউজে একক বা যৌথ একাউন্ট খোলা যায়।

-বিও একাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হল-

-বয়স ১৮ বছর হতে হয়

-নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হয়

-জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি

-নিজের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

-নমিনির ১ কপি ছবি

-ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট

-জয়েন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রেও উপরোক্ত কাগজ ও ছবি জমা দিতে হবে।

-বিও একাউন্ট খোলার জন্য ব্রোকারেজ হাউজভেদে ৫০০-২,০০০ টাকা চার্জ দিতে হয়।

শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে

শেয়ার বেচা-কেনার ক্ষেত্রে যেসকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়

–কোম্পানীটি কোন ক্যাটারগরীতে অবস্থান করছে। কোম্পানীগুলোর জন্য ৪ টি ক্যাটাগরি রয়েছে। ক্যাটাগরিগুলো হল- A, B, N ও Z

ক্যাটাগরি A: যে সকল কোম্পানী প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে এজিএম করে ও ১০% এর বেশি লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।

ক্যাটাগরি B: যে সকল কোম্পানী প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে এজিএম করে ও ১০% এর কম লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।

ক্যাটাগরি Z: যে সকল কোম্পানী পর পর দুই বছর বিনিয়োগ কারীদের লভ্যাংশ দেয় না সে সকল কোম্পানীকে Z ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলো মার্জিন একাউন্টের বিপরীতে কোন লোন সুবিধা প্রদান করে না। এই কোম্পানীর শেয়ারগুলো ক্রয়ের ১৫ কার্যদিবস পর বিক্রি করতে হয়।

ক্যাটাগরি N: বাজারের অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন কোম্পানীগুলোর এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন কোম্পানীগুলো N ক্যাটাগরিতে অবস্থান করে।

–কোম্পানীর ইপিএস (আর্নি পার শেয়ার) কত? প্রত্যেক কোম্পানী বছরে ৪ টি কোয়ার্টারে ইপিএস দিয়ে থাকে। ইপিএস হল শেয়ার প্রতি আয়। কোন কোম্পানী একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমান লাভ করে সেই লভ্যাংশকে মার্কেটের মোট শেয়ারে ভাগ করে দিলে যা আসে তাই হল ইপিএস।

–কোম্পানীর শেয়ারের পিই (প্রফিট আর্নি রেশিও) কত? যে কোম্পানীর পিই যত বেশী সে কোম্পানী তত বেশি অতি মূল্যায়িত। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের কোম্পানীগুলোর পিই ২৫ এর বেশি হলে ঝুঁকিপূর্ন বিবেচনা করা হয়।

লেনদেন

সরকারী ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত লেনদেন হয়ে থাকে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে সরাসরি এবং ফোনের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। ক্রয়কৃত শেয়ার ৪র্থ কর্মদিবসে বিক্রি করা যায়। শেয়ার বিক্রির ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সাধারণত একাউন্ট পে চেক প্রদান করা হয়। একাউন্টের টাকার মেয়াদ পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৩ দিন পূর্বে রিকুইজিশন দিতে হয়। আইপিও শেয়ার বিক্রির জন্য প্রদত্ত আইপিও এর ওয়্যারেন্ট পত্র ব্রোকারেজ হাউজে জমা দিতে হয়।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে