প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের রাজনীতি নিজেদের ভোগ বিলাসের জন্য না। আমরা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, সে চিন্তা করাটাই একজন রাজনীতিকের জীবনের বড় সম্পদ। রাজনীতি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশ গড়ার জন্য। আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি।’
শনিবার (২৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণভবনে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান বলেন, ‘একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষ খুন করেছে। দুর্নীতি করেছে। অত্যাচার করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ মানুষের ঘরে ঘরে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
এসময় বিএনপির সমালোচনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,বিএনপি গঠনতান্ত্রিকভাবে দুর্নীতিকে দলের নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিকেই তারা তাদের গঠনতন্ত্রে নিয়ে এসেছে। তাদের নীতিটাই হচ্ছে- এটা (দুর্নীতিকে) আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা।’
তারেক রহমানকে বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্রে ছিলো- কেউ যদি দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে চেয়ারপারসন হতে পারবে না। তারা এই গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে দুর্নীতিবাজকে রাখতে সেই ব্যবস্থা করছে। এর মাধ্যমে নিজেরাই স্বীকার করেছে- তাদের দলটি দুর্নীতির দল। এই ধরনের দুর্নীতির দল ক্ষমতায় থেকে দেশের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এটা প্রমাণিত সত্য। দুর্নীতি, হত্যা, মানুষ খুন, মাদক- এটাই হচ্ছে তাদের চরিত্র। যে কারণে তারা কখনও দেশের কল্যাণ ও উন্নতি করতে পারেনি।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় গিয়ে গঠিত দল জনগণকে কিছু দিতে পারে না। তারা চুরি করতে পারে। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে আজ তাদের নেত্রী জেলে। আবার জেলে যাওয়ায় তার অবর্তমানে এমন একজনকে চেয়ারপারসন হিসেবে নিয়োগ করলো, যে দুই-দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। একটিতে ৭ বছর অন্যটিতে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।’