বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না। কারণ নির্বাচনের সময়ে যদি দলীয় সরকার থাকে তাহলে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন যদি হতে হয়, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ঘাগটিয়া চালা ময়দানে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তাদের এতো ভয় কেন? কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ৩০টিও আসন পাবে না। এটাই হলো তাদের ভয়ের কারণ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন বিএনপি নাকি হাঁটু ভাঙা দল, তাই তারা লাঠি হাতে নিয়েছেন। বিএনপিকে লাঠি হাতে নিতে হয় না। বিএনপি জনগণের শক্তির ওপর ভর করে হাঁটে। আর আওয়ামী লীগের কোমর ভেঙে গেছে, তাই তারা পুলিশ নিয়ে চলে।
মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ আমাদের শত্রু নয়, পুলিশ আমাদের বন্ধু, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, চুরি-ডাকাতি বন্ধ করা। কিন্তু এসব করতে তাদের সময় কোথায়? তাদের সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখা হচ্ছে বিএনপির পেছনে। তাদের ব্যস্ত রাখা হচ্ছে বিএনপিকে ধরতে আর মারতে। আলেম-ওলামারাও রেহাই পাচ্ছে না। এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু, সাম্প্রদায়িক নয়। এ দেশের মানুষ সবসময় সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করছে।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আজিজুর রহমান প্যারার সঞ্চালনায় সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মরহুম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কামরুজ্জামান রতন, সহ-সাংগঠনিক বেনজির আহমেদ টিটু, হুমায়ুন কবির খান, রফিকুল ইসলাম, কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, ওমর ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মরহুম হান্নান শাহের কবর জিয়ারত করেন।