ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিপত্রটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। তাদের সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে আইনজীবী আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত রিটের শুনানি নিয়ে ডিএনসিসি’র উপনির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। এছাড়াও এক রুল জারির মাধ্যমে ডিএনসিসি’র নির্বাচন নিয়ে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে ডিএনসিসি’র নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হওয়া ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
আদালতে রিটকারীদের আইনজীবী হিসেবে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে বিবাদী করা হয়েছে। অপর রিটটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিবকে বিবাদী করা হয়।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। একই দিনে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ৩৬টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদেও ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল। গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে উপনির্বাচনের ৫৪টি ওয়ার্ডে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯, ভোটকক্ষ সাত হাজার ৫১৬টি, মোট ভোটার ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০। আর ডিএনসিসি’র উপনির্বাচনে ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৪।