প্রস্তুত গাজীপুর। এখন রাত পোহানোর অপেক্ষা। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। তাদের আশ্বাসে ভোটারাও কাকে নগরপিতা করবেন, তা নিয়ে কষছেন নানা হিসাব।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৬ জন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। আছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও। সাত মেয়র প্রার্থী যথাক্রমে আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমীন (কাস্তে), ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এডভোকেট জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাত পাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমেদ টেবিল ঘড়ি)।তবে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে।
নির্বাচন ঘিরে নগরীতে ২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার থেকে তারা টহল দিচ্ছে। ৬০০ র্যাব সদস্য ছাড়াও পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১ হাজার ২৪ জন ভোটে দায়িত্ব পালন করবেন।রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে ভোটগ্রহণের সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন-অর রশিদ আরটিভি অনলাইনকে বলেছেন, যে কোনো মূল্যে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন।৫৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার একটি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে এক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।