দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে অপার সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সব জেলার মত পার্বত্য তিন জেলাও সমানতালে এগিয়ে চলছে। পার্বত্য তিন জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি পর্যটনের জন্য পৃথিবীর মধ্যে অনন্য স্থান। এরকম পরিবেশ কখনো অশান্তির হতে পারে না। আমরা পার্বত্য এলাকার শান্তি সংরক্ষণে পার্বত্য এলাকার জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি আজ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় রামগড় থানা ভবন উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন হয়না। তারপরও আমরা মাদকের ভয়াবহতার শিকার। মাদকাসক্তদের অধিকাংশের বয়স ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যারা দেশের যুব সমাজ। এ যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। দেশের জনগণের সহযোগিতায় বর্তমানে দেশ অনেকটা জঙ্গীবাদ মুক্ত। সবার সহযোগিতায় মাদকমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকার সক্ষম হবে।
চরমপন্থিরা আত্মসমর্পণ করেছে এবং তারা এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ এলাকার মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসী কেউ যদি আত্মসমর্পণ করতে চান তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সরকার সহযোগিতা করবে।
যারা চাঁদাবাজি করে; তারা দেশের ক্ষতি করে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে চাঁদাবাজি করে। চাঁদাবাজদের সবাই বর্জন করবেন।
পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকবে এবং অপার সৌন্দর্যময় এ এলাকা বিশ্ব পর্যটকদের এক আকর্ষণীয় স্থান হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি; জনাব বাসন্তী চাকমা এমপি; জনাব কংজরী চৌধুরী, চেয়ারম্যান, পার্বত্য জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ি; ডিআইজি চট্রগ্রাম রেঞ্জ; জেলা প্রশাসক; পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ি ও স্থানিয় জনতা।