খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসরন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে এ সময় বিদেশে যেতে পারবেন না তিনি।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এসব কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

এর আগে, দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করে তার পরিবার। গত ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। তাতে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ারও অনুরোধ করা হয়। ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিতের আবেদন করা হয়েছিল।

এরইপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় সাজা স্থগিতের সুপারিশ করেছে। সরকার তা আমলে নিলে ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি পাবেন খালেদা জিয়া।

যদিও, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের আগে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদার পরিবার চাইলে এবং আবেদন করলে সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। পরে উচ্চ আদালত ওই বছরের অক্টোবরে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। একই বছরে বিচারিক আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা রায় ঘোষিত হয়। যাতে সাত বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর। এরপর উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ হয় একাধিকবার।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান তিনি। এরপর আরও পাঁচ দফায় বাড়ানো হয় সাময়িক মুক্তির মেয়াদ।