শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ বছর এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। গত চার বছর কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে না। দিনাজপুরে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশ্নপত্র ফাঁস বলতে যা বোঝায় সেখানে সেটি হয়নি। কোনো পরীক্ষার্থীর হাতে প্রশ্নপত্র পৌঁছায়নি। একটি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব অনেকগুলো প্রশ্নপত্র একটি প্যাকেটে করে নিয়ে গেছেন। এটি কীভাবে হলো বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর দু-একটি জায়গায় ভুল প্রশ্নপত্র গেছে।
শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তিবান্ধব শুধু নয়, প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও দক্ষ সৃজনশীল মানবিক মানুষ হবে। যে যার যার ধর্ম সর্ম্পকেও সঠিকভাবে অবহিত হবে। ধর্মীয় যে শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা সেটিও সঠিকভাবে পাবে।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি চক্র বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবে ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষাকে শিক্ষা থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ নৈতিক শিক্ষা অবশ্যই সঠিক শিক্ষার একেবারেই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর একইসঙ্গে মানবিক মানুষ হওয়ার যে শিক্ষা, সৃজনশীল শিক্ষা, বিজ্ঞানের শিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষা, ইতিহাসের শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা, সেগুলো আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখাবো।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসাইন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।