জি আর ই কি, জি আর ই প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

আইইএলটিএস (IELTS) প্রস্তুতি
আইইএলটিএস (IELTS) প্রস্তুতি

জি আর ই কি, জি আর ই প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে 

“গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (Graduate Record Examination)” –কে সংক্ষেপে বলা হয় “জি আর ই (GRE)”। এটি মূলতঃ এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস (ETS) –এর একটি রেজিস্টার্ড এডুকেশনাল ব্র্যান্ড, তাই একে লেখা হয় GRE®। আমেরিকার ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (ব্যাচেলর ডিগ্রির পর এমএস/ পিএইচডি প্রোগ্রাম) ভর্তির জন্য জি আর ই অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

জিআরই অফিসিয়াল সাইট:

http://www.ets.org/gre

বিষয় বিত্তিক জি আর ই ও সাধারণ জি আর ই

সাধারণত নিম্ন লিখিত আটটি বিষয়ের উপর বিষয়ভিত্তিক জি আর ই টেস্ট দেয়া যায়ঃ

১। প্রাণরসায়ন (Biochemistry), কোষ এবং আণবিক জীববিজ্ঞান (Cell and Molecular Biology)

২। জীববিজ্ঞান (Biology)

৩। রসায়ন (Chemistry)

৪। কম্পিউটার সাইন্স

৫। ইংরেজি সাহিত্য (Literature in English)

৬। গণিত (Mathematics)

৭। পদার্থ বিজ্ঞান (Physics)

৮। মনোবিজ্ঞান (Psychology)

যে কেউ চাইলে এর যেকোনো বিষয়ের উপর বিষয় ভিত্তিক জি আর ই টেস্ট দিতে পারবে। আর সাধারণ জি আর ই –এর অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলো হল, ভার্বাল রিজোনিং (Verbal Reasoning), কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning) এবং এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills)। সাধারণ জি আর ই টেস্টের জন্য নির্ধারিত এই বিষয়গুলো সকলের জন্য একই রকমের হবেঃ

ভার্বাল রিজোনিং (Verbal Reasoning): এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর ইংরেজী শব্দ ও বাক্যের উপর দক্ষতা কত। ইংরেজীতে আর্টিকেল লেখা থাকবে, সেই আর্টিকেলের বিষয়বস্তুগুলোকে (বাক্য) বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে হবে, এরপর প্রতিটি ভাগকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে (শব্দগুলোর সাথে বিষয়বস্তুর সম্পর্ক বের করতে হবে)।

কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning): এই অংশকে ম্যাথ সেকশনও বলা হয়।এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর গাণিতিক মৌলিক ধারনা এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে বীজগণিত, জ্যামিতি ও তথ্য বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা।

এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills): এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর যে কোনো ধরনের জটিল সমস্যা স্পষ্টভাবে ও সকল বিষয়াদি বিবেচনাধীন রেখে সমাধান করা। এই সমাধান পরিষ্কার ইংরেজীতে লিখতেও হবে।

বাংলাদেশে জি আর ই পরীক্ষাকেন্দ্র

আমেরিকান অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন

বাসা নং- ১৪৫, রোড নং- ১৩বি, ব্লক- ই,

বনানী, ঢাকা-১২১৩।

টেলিফোনঃ (৮৮০-২) ৯৮৮১৬৬৯

ফ্যাক্সঃ (৮৮০-২) ৯৮৮১৬৬৯

ই-মেইলঃ [email protected]

সপ্তাহে তিন দিন এই পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ থাকেঃ শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার। বাকি চার দিন এখানে পরীক্ষা গ্রহন করা হয়।

দুইটি সেশনে পরীক্ষা নেয়া হয়ঃ সকাল ৯.০০ মিনিটে এবং দুপুর ১.৩০ মিনিটে।

নোটঃ দিনে দুইবার করে সপ্তাহে চার দিন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকলেও একজন পরীক্ষার্থী মাসে শুধু একবার এবং বছরে মাত্র পাঁচবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। এর বেশি তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয় না।

জি আর ই করে আমেরিকা যেতে খরচের বিস্তারিতঃ (আনুমানিক)

জি আর ই রেজিস্ট্রেশন ফি = $ ১৮৫ (প্রায় ১৪,৮০০ টাকা)

টোয়েফেল রেজিস্ট্রেশন ফি = $ ১৫০ (প্রায় ১২,০০০ টাকা)

বিশ্ববিদ্যালয়ে (চারটিতে) আবেদন ফি = $ ২৫ X ৪ = $ ১০০ (প্রায় ৮,০০০ টাকা)

আবেদন পাঠানোর খরচ (চারটি ঠিকানায়) = ২,০০০ টাকা X ৪ = ৮,০০০ টাকা

সার্ভিস ফি = ১৬,০০০ টাকা

ভিসা ইন্টারভিউ ফি = ৯,০০০ টাকা

প্লেন ফেয়ার = ৭০,০০০ টাকা

মোট = ১,৩৭,৮০০ টাকা

এখানে যে খরচের চিত্র দেখানো হলো, বাস্ততে তার সাথে কিছু পার্থক্য হতে পারে। যেমন, প্লেনের টিকেটের দাম নির্ভর করে কোন সময়ে টিকেট কাটা হচ্ছে এবং কোন এয়ারলাইন্সে কাটা হচ্ছে। ভিসা ইন্টারভিউ ফি বর্তমানে কিছু বাড়ানো হয়েছে। আর সব খরচ মোটামুটি একই রকম।

জি আর ই পেয়িং সিস্টেম (চেকের মাধ্যমে)

জি আর ই সেন্টারের ঢাকা অফিস থেকে চেক সংগ্রহ করে কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনার গন্তব্যস্থল-এ পাঠানো যায় অথবা অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে ইউএস অবস্থিত জি আর ই সেন্টারগুলোর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পেমেন্ট পোঁছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

যদি ইউএস অফিস মাধ্যমে পেমেন্ট পৌঁছানোর দুটি উপায় রয়েছে-

চেক সার্ভিসের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকা অতিরিক্ত লাগবে।

উদাহরনস্বরূপ, $৭৫ ডলারের চেকের জন্য ৭৫০০ টাকার সাথে আরো ২০০০ টাকার লাগবে।

ইউএসএ অফিসে অনুরোধ অনুসারে $১২ ডলার অতিরিক্ত পে-এর মাধ্যমে আপনার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে চেক পাঠানো যাবে।

নোট: টেক্সাস অফিস থেকে ‘ব্যাংক অব আমেরিকা’ ইস্যু করা হয়।

জি আর ই পেয়িং সিস্টেম (টেলিফোনের মাধ্যমে)

উল্লে্খ্য যে, ফোনের মাধ্যমে ক্রেডিক কার্ড ইনফরমেশন সবসময় প্রতারণার ঝুঁকি থাকে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি টেলিফোন ব্যতিত অন্য কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করেননি। বাংলাদেশের একমাত্র জি আর ই সেন্টার এ সার্ভিস দিয়ে থাকে।

ফোনের মাধ্যমে জি আর ই এএসআর অর্ডার প্লেসিং-এর জন্য

এই সেবা পেতে লাগবে

টোফেল একাউন্ট ইউজারনেম

একাউন্ট পাসওর্য়াড

আপনি যে তারিখের পরীক্ষার স্কোর পেতে চান সেই তারিখ (টোফেল ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

এরপর

জি আর ই সেন্টার আপনার টোফেল কপির জন্য অনলাইনে পেমেন্ট করবে।

ইটিএস সাধারণত ১৪ দিনের ভিতর টোফেল পেপার পাঠিয়ে থাকে। অর্ডারের দিন থেকে ৫ দিনের ভিতর এবং সর্বোচ্চ ১ মাসের অর্ডার এবং রিসিপ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।

ইউএস অফিসে স্কোর কার্ড পোঁছানোর পর ৩ দিনের ভিতর ফেডেক্স কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠনো হয়।

ঢাকা অফিস থেকে পেপার কপি সংগ্রহ করতে হবে।

নোট:  জি আর ই  স্কোর পেপার ইউএসএ অফিস থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।

নিন্মলিখিত তথ্যগুলোর জন্য ইটিএস হেড কোয়াটার থেকে কল করা হয়-

  • জি আর ই রেজিস্ট্রেশন অনলাইন কনফার্মেশন অথবা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার
  • নামের প্রথম, মধ্যম এবং শেষ অংশের জন্য
  • জন্ম তারিখ
  • লিঙ্গ
  • ই-মেইল
  • ঠিকানা লাইন-১
  • ঠিকানা লাইন-২
  • সিটি/শহর
  • জিপ/পোষ্টাল কোড
  • ফোন নং
  • অতিরিক্ত ফোন নং
  • জি আর ই-এর তারিখ
  • ভার্বাল, কোয়ানটিটেটিভ এবং রাইটিং সেকশনের স্কোর
  • ই-মেইল আইডি
  • মাই জি আর ই ইউজার নেম
  • মাই জি আর ই পাসওয়ার্ড

জি আর ই (GRE) –এর অনন্যতা

প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির সাথে জি আর ই, জিম্যাট এর কিছু পার্থক্য আছেঃ

প্রচলিত পরীক্ষা হয় কাগজ কলমে, আর জি আর ই, জিম্যাট পরীক্ষা হয় কম্পিউটারে।

আপনি একবারে মাত্র একটি প্রশ্ন দেখতে পাবেন। আগের জি আর ই (২০১১ এর অগাস্টের আগে) ছিল সিএটি বা Computer Adaptive Test (CAT) ধরণের, যার অর্থ হলো কম্পিউটার আপনার উত্তরের উপর নির্ধারণ করবে যে পরবর্তীতে আপনাকে কেমন প্রশ্ন দেবে। আপনি যদি কোন প্রশ্নের উত্তর ভুল করেন তাহলে পরেরটা সহজ এবং কোনটা সঠিক হলে পরেরটা একটু কঠিন হতো। কিন্তু বর্তমান জি আর ই তে CAT ব্যবহৃত হয় না। বরং এখানে যা হয় তাকে বলে MST, Multi-Stage Testing । বর্তমানে দুটি ভার্বাল ও দুটি ম্যাথ সেকশন থাকে। যদি প্রথম ভার্বাল অংশটায় আপনার পারফর্ম্যান্স ভালো হয় তাহলে পরেরটা কঠিন হবে, এবং বিপরীতক্রম। একই কথা সত্য ম্যাথ অংশের জন্যও।

সনাতন পরীক্ষায় আপনি জানতে পারবেন যে কোন প্রশ্নের জন্য কত মার্কস। কিন্তু জি আর ই বা জিম্যাটে ঠিক এভাবে জানা যায় না। আপনার সামগ্রিক পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করে কম্পিউটার একটি স্কোর দাঁড় করায়, যা নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চলে।

পরীক্ষার হলে কক্ষপরিদর্শক বা ইনভিজিলেটররা থাকেন। জি আর ই পরীক্ষার হলে একটি সাইবার ক্যাফের মতো রুমে সবাইকে আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেওয়া হয়, এবং ইনভিজিলেটররা বাইরের রুমে থাকেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কর্মকাণ্ড তারা ক্লোস সার্কিট ক্যামেরায় দেখতে পারেন।

প্রচলিত পরীক্ষায় ভাবমূলক বা সাবজেকটিভ ধরণের প্রশ্ন থাকতে পারে, যার উত্তর এক এক রকম হলে মার্কস ও এক এক রকম হতে পারে। জি আর ই বা জিম্যাটের অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অংশ ছাড়া ম্যাথ ও ভার্বাল অংশের সব প্রশ্নই অবজেকটিভ ধরণের হবে, অর্থাৎ এক বা একাধিক উত্তর থাকবে কিন্তু ঠিক ওগুলোই সঠিক উত্তর। এক এক জন একেক রকম উত্তর দিয়ে সঠিক মার্কস পেতে পারবে না।

জি আর ই পরীক্ষার অংশগুলোঃ

পরীক্ষাটি প্রধানত তিনটি অংশে বিভক্তঃ

  • Analytical Writing
  • Verbal
  • Quantitative (math section নামেই বেশি পরিচিত)

১। রাইটিং অংশে ইস্যু ও আর্গুমেন্ট এই দুই ধরনের লেখা লিখতে হবে কম্পিউটার কী-বোর্ড দিয়ে।

২। ভার্বাল অংশে যা যা থাকবেঃ

Reading comprehension from short, medium or long passages (জি আর ই’র মোট ভার্বাল প্রশ্নের অর্ধেকই হবে এরকম প্রশ্ন)

Text Completion বা এক কথায় শূন্যস্থান পূরণ। তবে বাক্যের মধ্যে একটি, দুইটি এমনকি তিনটি পর্যন্ত শূন্যস্থান থাকতে পারে।

Sentence Equivalence: একটা বাক্যের মধ্যে একটি শূন্যস্থান থাকবে, নীচে ছয়টি শব্দ অপশন দেওয়া থাকবে যার মধ্যে যে কোন দুটি হবে সঠিক এবং চারটি ভুল।

৩। ম্যাথ অংশে যা যা থাকবেঃ

Quantitative comparison. পাশাপাশি দুটি কলাম (এ এবং বি) দিয়ে বলবে কোনটা বড় বের কর।

Discrete mathematical problems: সরাসরি অংক কষে তার উত্তর বের করতে হবে।

Data Interpretation: গ্রাফের মধ্যে ডাটা দিয়ে সেগুলো থেকে সংখ্যায় উত্তর বের করতে হবে।

Numerical Input: অংক করে উত্তর একটি বক্সের মধ্যে বসাতে হয়। অর্থাৎ, কোন অপশন দেওয়া থাকবে না।

জি আর ই প্রস্তুতির জন্য বই

প্রয়োজনীয় বইগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। গুরুত্ব অনুসারে এগুলো এরকম (প্রথমটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)

  1. A) ইংরেজী শব্দ ভাণ্ডার বা ভোকাবুলারি (vocabulary) সমৃদ্ধ করার বই
  2. B) জি আর ই’র verbal অংশের জন্য বই
  3. C) জি আর ই’র Quantitative বা math অংশের জন্য বই
  4. D) জি আর ই’র Analytical writing অংশের জন্য বই
  1. A) Vocabulary সমৃদ্ধ করার বই

বাজারে অসংখ্য বই পাওয়া যায় ওয়ার্ডলিস্ট বা ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করার জন্য। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ভোকাবুলারি’র বইয়ের দুটি হলো সাইফুর’স ভোকাবুলারি বই এবং প্রিন্সটন রিভিউ থেকে প্রকাশিত ওয়ার্ডমাস্টার বই। সাইফুরস এর বইটা একদম নবীনদের জন্য ভালো, যাদের হয়ত ইংরেজী শব্দ বানান করে করে পড়তে হয়। কিন্তু যারা GRE বা SAT’র মতো পরীক্ষায় বসতে চান, তাদের একটু সমৃদ্ধতর বইয়ের দিকে যাওয়াই উচিত।

১. শব্দগুলোকে গ্রুপ করে পড়ার জন্য সংগ্রহ করতে পারেন জি আর ই সেন্টার থেকে প্রকাশিত ওয়ার্ড পোস্টার (1B) , এবং ফরহাদ হোসেন মাসুম রচিত Vocabuilder বই (1A)। শব্দ মনে রাখার সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক উপায় হলো শব্দের গঠন ভেঙ্গে ভেঙ্গে তার মূল বা রুট দিয়ে মনে রাখা, এবং সমজাতীয় শব্দগুলো এক সাথে পড়া। এই বই দুইটিতে শব্দের মূল (root) নিয়ে আলোচনা না করলেও সমজাতীয় ও পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত শব্দগুলোকে এক সাথে আলোচনা করা হয়েছে বলে অল্প সময়ে অনেকগুলো শব্দ মনে রাখা যায়।

২. শব্দের উৎস ও suffix (শব্দের শেষে বসা অংশ), prefix (শব্দের শুরুতে বসা অংশ) ইত্যাদি দিয়ে বোঝা যায় একটি শব্দ কিভাবে গড়ে ওঠে এবং পরিবর্তিত হয়। এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে Word power made easy (by Norman Lewis) বইটিতে (1C), যা ভোকাবুলারির দখল বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় বইগুলোর একটি। বইটির শেষে কিন্তু বিশেষ একটা শব্দ তালিকা দেওয়া আছে, যা জি আর ই শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জানা থাকা উচিৎ।

৩. বাংলাদেশী লেখক এস এম জাকির হোসেন খুব সুন্দর তিনটি বই লিখেছেন যেখানে শব্দগুলোকে তাদের root, suffix, prefix ইত্যাদির সাহায্যে আলোচনা করা হয়েছে। বইয়ের নাম Word Learning Magic, book 1, 2, 3 (1D)।

  1. B) জি আর ইVerbal অংশের জন্য বই

Verbal অংশে ভালো করার জন্য আমাদের নির্বাচিত বইগুলো নীচে দেওয়া হলো।

১. যারা উচ্চ স্কোর (330+) করতে চান তাদের প্রথম থেকেই Manhattan সিরিজ ভালো করে পড়া উচিত। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ Unofficial গাইড। (2A)

২. ETS থেকে প্রকাশিত Official Guide (2B)

৩. Princeton Review Cracking the new GRE (2C)

৪. Barron’s New GRE (2D)

প্র্যাকটিসের জন্য সংগ্রহ করতে হবে:

৫. ETS GRE big book (2E)

৬. Princeton 1014 (2F)

কম গুরুত্বপূর্ণ:

৭. Peterson’s GRE (2G)

৮. Kaplan GRE (2H)

৯. Grubber’s GRE (2I)

  1. C) জি আর ইQuantitative বা Math অংশের জন্য বই

১. ম্যাথের জন্য সবচেয়ে ভালো বই হবে জি আর ই সেন্টার থেকে প্রকাশিত Math for GRE/GMAT Tests

২. Manhattan GRE

৩. ETS official guide

এ ছাড়া, নবম শ্রেণীর বীজগণিত ও জ্যামিতি বইয়ের অংক ও সূত্রগুলো দেখে রাখতে হবে।

প্র্যাকটিসের জন্য:

৪. Leaked out GRE Maths (জি আর ই সেন্টার থেকে প্রকাশিতব্য)

৫. Princeton 1014

৬. Data Interpretation এর জন্য Big Book

  1. D) জি আর ইAnalytical Writing অংশের জন্য বই

১. Official Guide

২. Kaplan GRE

জিআরই-তে ভাল করার জন্য ওয়ার্ড শেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যারনসের বইয়ে ৩৫০০টা শব্দ আছে। এই শব্দগুলো আপনাকে জানতেই হবে। এগুলো না জানলে আপনি কোনমতেই পরীক্ষায় ভাল করবেননা। তার আগে আপনি ওয়ার্ড-পাওয়ার মেইড ইজিটা পড়ুন। সেটা পড়ে শেষ করতে যে কোন এভারেজ ছাত্রের ১৫ দিন মত লাগার কথা যদি প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা সময় দেন। এর পরেই আপনার শুরু হবে ব্যারনসের ওয়ার্ড শিখার পালা। এটা আপনার প্রেপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। ৫০টা ওয়ার্ড লিস্টের মধ্যে ৩৫০০ ওয়ার্ডের ১০০০ থেকে ১৫০০ ওয়ার্ড আপনার জানা থাকার কথা। না জানা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। এই ওয়ার্ড লিস্টগুলো আপনাকে ২ মাসে সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এজন্য আপনাকে ফ্ল্যাশকার্ড বানাতে হবে। যাতে আপনি সবসময়ই আপনার সাথে কয়েকটা ফ্ল্যাশ কার্ড রাখতে পারেন এবং ১ মিনিট সময় পেলেও একটু চোখ বুলাতে পারেন। ওয়ার্ড শিখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল রিভিউ করা। আপনি প্রতিদিন যতসময় নতুন ওয়ার্ড শিখার জন্য দিবেন অন্তত ততটুকু সময় পূর্বের শিখা ওয়ার্ড রিভিউ করার জন্য দিতে হবে। নাহয় কোনদিনই আপনি মনে রাখতে পারবেননা। তাছাড়া এই ওয়ার্ডগুলো যাতে কনটেক্স্ টে পান সে ব্যবস্থা করতে হবে। ইউসেজ না জেনে শুধু শুধু গাদাগাদা ওয়ার্ড শিখে কোন লাভ নেই। এজন্য নিয়মিত ইংরেজী পত্রিকা, জার্নাল, ম্যাগাজিন পড়তে হবে। সেখানে আপনি যখন শিখা ওয়ার্ডগুলো কনটেক্সটে পাবেন তখন আর কোনদিন শব্দগুলো ভুলবেননা। আপনি যদি মুসলিম হন তবে এই ওয়ার্ডগুলো কনটেক্সটে পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ইংরেজীতে কোরআনের আল্লামা ইউসুফের তরজমাটা নিয়মিত পড়া। (মওদুদীরটা পড়বেননা। ভুলভাল আছে।) এখানে জিআরই অলমোস্ট ৯০-১০০% শব্দগুলোই এসেছে। জিআরই-র ওয়ার্ডগুলো সবগুলোই একসাথে কনটেক্সটে থাকার অন্য কোন সোর্স আমার জানা নেই, থাকার কথাও না। এডিশনালি, আপনি ফাযায়েলে আ’মাল বইয়ের ইংরেজী ভারশানও পড়তে পারেন। অন্য ধর্মের হলে আপনি টাইম, নিউজউইক, ইকনমিস্ট, রিডার’স ডাইজেস্ট পড়তে পারেন। নীলক্ষেতে এসবের পুরাতন কপি বিক্রি হয়, এককপি মনে হয় ১০টাকা নেই। এভাবে রিলিজিয়াসলি ওয়ার্ড শিখলে সেটা শুধু জিআরই-র জন্যই নয়, আপনার সারা জীবনে আপনাকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। তাছাড়া শুধু ব্যারনসের ওয়ার্ডগুলো শিখতে পারলে আর মনে রাখতে পারলে আপনি ভারবালে ৬৫০+ পাওয়া গ্যারন্টিড। আর জিআরই-তে ১৪০০-র বেশি পেলেই আপনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ডিংসহ পড়াটা বলা যায় একেবারে হাতের কাছেই।

রিডিং কম্প্রিহেনশান:
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
জিআরই-র রিডিং কম্প্রিহেনশান নিয়ে সবাই ভুগে। সময় কম হওয়াতে আর পেসেজগুলো বোরিং হওয়াতেই সমস্যা। তবে জিআরই-র বিগবুকে এক্সপ্ল্যানেশান না থাকাটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে সেটা হল জিমেটের অফিসিয়াল গাইডটা কিনতে হবে। সেখানে প্রায় ৩০-৩৫টা রিডিং কম্প্রিহেনশান বিস্তারিত এক্সপ্লানেশান দেওয়া আছে। সেগুলো আপনাকে প্রথমবার কোন টাইমিং ছাড়া করতে হবে। তারপর ব্যাখ্যা বিস্তারিত পড়তে হবে। পরে আবার টাইমিংসহ করতএ হবে। এগুলো জিআরই-র পেসেজ থেকে টাফার এবং ইটিএসেরও বানানো। তাই এগুলো ভালমতে করলে জিআরই-র কম্প্রিহেনশান ডালভাত হয়ে যাবে।

ওয়ার্ড শেখা আর জিমেটের রিডিং কম্প্রিহেনশান করার জন্য আপনার ২-২.৫ মাস সময় লাগবে। এরই ফাকে ফাকে কিন্তু আপনাকে ফোরামে পার্টিসিপেট করতে হবে। আর ব্যারনসের বইটা প্রথম থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ করতে হবে। ম্যাথের জন্য কাপলানের জিআরই/জিমেট ম্যাথ ওয়ার্কবুক করতে হবে। এতে আপনার অন্যান্য সেকশানগুলোও ক্রমান্বয়ে হয়ে যাবে। রচনার জন্য টাইপিং স্পিড ভাল করতে হবে। সাইফুর’সের বইটা ফলো করবেন। ২.৫ মাস হয়ে যাওয়ার পর এখন আপনার আর ১ মাস লাগার কথা ভালমতে প্রেপ নেওয়ার জন্য। এসময়ে আপনি প্রথমে শুরুতে পাওয়ারপ্রেপ টেস্ট-১ দিবেন। দিয়ে আপনার বিস্তারিত স্কোর ডেটসহ কয়টা ভুল হয়েছে, কোন কোন প্রবলেম ভুল হয়েছে এসব লিখে রাখবেন। এরপরে বিগবুক শুরু করবেন। বিগবুকে মোট ২৭টা টেস্ট আছে। সেগুলো টাইমড কন্ডিশনে সল্ভ করতে হবে। তারপর ভুলগুলো কেন হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। কোন প্রশ্ন না বুঝলে ফোরমে পোস্ট করতে হবে। বিগবুক হচ্ছে জিআরই-র বাইবেল। বিগবুক যদি ভালমতে করেন তাহলে আসল জিআরই আপনার জন্য ইজি হয়ে যাবে। প্রতিদিন ২টা করে টেস্ট করবেন। তথ্যসূত্রঃ অনলাইনঢাকা