![the-rule-of-law](https://politicsnews24.com/webcarezone.com/wp-content/uploads/the-rule-of-law.jpg)
মিথ্যা সাক্ষ্যদান ও গণ বিচারের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত অপরাধ সম্পর্কিত ধারা
ধারা ১৯১। মিথ্যা সাক্ষ্যদানঃ
যে ব্যক্তি সত্য কথনের জন্য হলফ বা আইনের প্রকাশ্য বিধান বলে আইনত বাধ্য হইয়া বা কোন বিষয়ে কোন ঘোষণা করিবার জন্য আইনবলে বাধ্য হইয়া এমন কোন বিবৃতি দান করে, যাহা মিথ্যা এবং যাহা সে মিথ্যা বলিয়া জানে বা বিশ্বাস করে বা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করে না, সেই ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বলিয়া গণ্য হইবে।
ধারা ১৯২। মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন করাঃ
যে ব্যক্তি এইরূপ অভিপ্রায়ে কোন বহি বা রেকর্ডে এমন কোন ঘটনা ঘটায় বা মিথ্যা বিবরণী লিপিবদ্ধ করে অথবা মিথ্যা বিবরণী লিপিবদ্ধ বা সংবলিত কোন দলিল প্রণয়ন করে যে, কোন বিচার বিভাগীয় মামলা বা কোন সরকারী কর্মচারীর সম্মূখে অনুরূপ সরকারী কর্মচারীর পদমর্যাদায় পরিচালিত কোন মামলায় বা কোন মধ্যস্থতাকারীর সম্মূখে অনুরূপ ঘটনা, মিথ্যা লিপি বা মিথ্যা বিবরণী প্রমাণরূপে উপস্থাপিত করা যাইতে পারে, এবং অনুরূপভাবে উপস্থাপিত অনুরূপ ঘটনা, মিথ্যা লিপি বা মিথ্যা বিবরণী যে ব্যক্তি প্রমাণের ভিত্তিতে অনুরূপ মামলায় তাহার মতামত গঠন করিবেন সেই ব্যক্তিকে অনুরূপ মামলার ফলাফলের ব্যাপারে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভ্রান্ত অভিমত পোষণ করিতে বাধ্য করিতে পারে, সেই ব্যক্তি “মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন করে” বলিয়া গণ্য হইবে।
ধারা ১৯৩। মিথ্যা সাক্ষ্যের শাস্তিঃ
যে ব্যক্তি, কোন বিচার বিভাগীয় মামলার কোন পর্যায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বা কোন বিচার বিভাগীয় মামলার কোন পর্যায়ে ব্যবহৃত হইবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন করে, সেই ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে-যাহার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে-দণ্ডিত হইবে এবং তদুপরি অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবে;
যে ব্যক্তি অন্য কোন মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বা উদ্ভাবন করে, সেই ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে-দন্ডিত হইবে, এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবে।
ধারা ১৯৪। মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধের দন্ডবিধান করাইবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা উদ্ভাবন করা:
যে ব্যক্তি, এইরুপ অভিপ্রায়ে বা এইরুপ জানিয়া মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বা উদ্ভাবন করে যে, সে তদ্বারা কোন ব্যক্তিকে আপাতত প্রচলিত যেকোন আইনবলে মৃত্যুদন্ডযোগ্য বলিয়া বিবেচিত কোন অপরাধের জন্য দন্ডিত করাইবে বা সে তদ্বারা কোন ব্যক্তিকে অনুরূপ অপরাধের জন্য দন্ডিত করিতে পারে-এইরুপ সম্ভাবনা রহিয়াছে, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা সশ্রম কারাদন্ডে যাহার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে-দন্ডিত হইবে।
তদ্বারা কোন নিরপরাধ ব্যক্তির দন্ডবিধান করিবার এবং তাহাকে ফাঁসি দেওয়ার ক্ষেত্রে
এবং অনুরূপ মিথ্যা সাক্ষ্যের ফলে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি দন্ডিত হইলে ও তাহাকে ফাঁসি দেওয়া হইলে যে ব্যক্তি অনুরুপ মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, সেই ব্যক্তি মৃত্যু দন্ডে বা ইতঃপূর্বে বর্ণিত দন্ডে দন্ডিত হইবে।
ধারা ১৯৫। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা কারাদণ্ডে দ্ণ্ডনীয় অপরাধে দণ্ডিত করাইবার মতলবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা উদ্ভাবন করাঃ
যে ব্যক্তি এইরূপ অভিপ্রায়ে এবং এইরূপ জানিয়া মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বা উদ্ভাবন করে যে, সে তদ্বারা কোন ব্যক্তিকে আপাতত প্রচলিত কোন আইনবলে মৃত্যুদণ্ডাযোগ্য বলিয়া গণ্য নহে, কিন্তু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে কিংবা সাত বৎসর বা তদূর্ধ্বে মেয়াদের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধে দণ্ডিত করাইবে, অথবা সে তদ্বারা কোন ব্যক্তিকে অনুরূপ দন্ডিত করাইতে পারে এবং সম্ভাবনা রহিয়াছে সেই ব্যক্তি উক্ত অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তি তদ্রুপ শাস্তির যোগ্য হইত যদ্রুপ শাস্তির যোগ্য হইবে। তথ্যসূত্রঃঅনলাইনঢাকা